ভ্যাকসিন পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার পর প্রাপ্ত প্রাথমিক ফলাফলের বরাতে কোম্পানিটি এ দাবি করেছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে বলে জানিয়েছে মডার্না।
শেষ ধাপের ওই ট্রায়ালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটি পুশ করা হয়। এর মধ্যে অর্ধেককে চার সপ্তাহের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেয়া হয়। এ ছাড়া বাকিদের দেয়া হয় নামমাত্র ইনজেকশন। সেগুলোতে ভ্যাকসিনের কোনো ডোজ ছিল না।
তৃতীয় ধাপের প্রাথমিক ফলের ওপর ভিত্তি করে পাওয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে সোমবার মডার্না দাবি করেছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনা ঠেকাতে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর।
মডার্নার প্রেসিডেন্ট স্টিফেন হজ এক টেলিফোন সাক্ষাতকারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছি যা কোভিড-১৯ নামক মহামারি এই রোগকে থামিয়ে দেবে।’
এর আগে প্রথমবারের মতো করোনা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর একটি ভ্যাকসিন তৈরির দাবি করে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক।
ভ্যাকসিনটি ৬টি দেশে ৪৩ হাজার ৫০০ জন মানুষের দেহে পরীক্ষা চালিয়ে প্রাথমিকভাবে এমন ফল পাওয়া যায়।
একে একে দুটি ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর বলে পরীক্ষার ফল আসার পর এ আশা তৈরি হয়েছে যে, সবার কাছে এসব ভ্যাকসিন দ্রুত সরবরাহ করা গেলে হয়তো শিগগিরই বিশ্ব মহামারি এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবে।
তবে কবে সবার কাছে কখন ভ্যাকসিন পৌঁছাবে এ নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।
মডার্না আজকের দিনটিকে ‘মহান’ বলে অভিহিত করলেও এটা এখনও প্রাথমিক ফলাফল। পূর্ণাঙ্গ ফল না আসায় ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা রয়েই গেছে। পূর্ণাঙ্গ ফল আসলে তবেই তা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।