কাউন্টারপয়েন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রান্তিকভিত্তিক ডিভাইস সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও
গত বছরের তুলনায় জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে চীনের স্মার্টফোন বাজারের প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। দেশটি এখনো প্রাক-কভিড পর্যায়ে ফিরে আসতে পারেনি। প্রিমিয়াম পি৪০/প্রি৪০ প্রো সিরিজ, মেট ৩০ সিরিজ ও সাশ্রয়ী মূল্যের প্রিমিয়াম নোভা ৭ সিরিজসহ বিভিন্ন ৫জি স্মার্টফোন চীনের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ১০টি মডেলের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে হুয়াওয়ে।
গবেষণা বিশ্লেষক মেনমেং ঝাং বলেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বৃদ্ধি করা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে হুয়াওয়ে মারাত্মকভাবে সরঞ্জাম সংকটে পড়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটির বিক্রিও হ্রাস পেতে শুরু করেছে।
গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে চীনের স্মার্টফোন বাজারে চতুর্থ স্থানে নেমে গেলেও সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ফোন ছিল আইফোন ১১ মডেল। যদিও অ্যাপলের সামগ্রিক বিক্রির পরিমাণ গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এমন হ্রাস পাওয়ার পেছনে অ্যাপলের নতুন আইফোন আসার খবর ভূমিকা রেখেছিল। শেষ প্রান্তিকে অ্যাপল ভালো করবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
গবেষণা বিশ্লেষক ফ্লোরা ট্যাং বলেন, ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের হারের সঙ্গে ক্রমহ্রাসমান আত্মবিশ্বাসের কারণে চীনের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা ব্যয় দুর্বল ছিল। মহামারী পরবর্তী পুনরুদ্ধারের সময়কালে তৃতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা সত্ত্বেও চীনের সামগ্রিক বাজার চাহিদা স্থির ছিল। এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে এসে আরেক চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমির ১১ শতাংশ শেয়ার বেড়েছে এবং বাজার প্রবণতার বাইরে গিয়ে গত বছরের তুলনায় জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শাওমির ফোনের ৮ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের স্মার্টফোন বিক্রির তথ্য প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে অপো ও ভিভো। কিন্তু নতুন ফ্ল্যাগশিপ সিরিজের হাত ধরে আগের প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। অন্যদিকে অপো রেনো ৪ হুয়াওয়ে বাদে চীনের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ৫জি মডেলের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএ