বুধবার বেলা ১২টায় গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন হয়ে গেল, সেই নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এ কারণে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের আহ্বান করছি। ঢাকার দুই সিটিতে ৭ থেকে ৯ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। আমরা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলছি- এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের এত আয়োজনের পরেও ভোটাররা তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় এখন ভিন্ন কৌশলে নতুনরূপে বাকশালী কায়দায় দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। অত্যন্ত সচেতনভাবে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেই যাচ্ছে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে ভোটের ফল সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেন বিএনপির দুই প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। তারা নির্বাচনে কেন্দ্রদখল, এজেন্ট বের করে দেয়া, ফল কারচুপির অভিযোগ তুলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও বরকত উল্লাহ বুলু, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।