প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবার গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা কমিশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুয়ায়ী, কক্সবাজারের খুরুশকুলে ১১৯টি ৫ তলা ভবন নির্মাণ ছাড়াও প্রায় ২৩ কিলোমিটার আভ্যন্তরীণ ও সংযোগ সড়ক, ৩৮ কিলোমিটার ড্রেন, ২৮টি বিশেষ পাম্প, ৮ কিলোমিটার পানির লাইন, ১৪টি ওভারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার, ৪টি সাইক্লোন সেন্টার, সোলার প্যানেলসহ আরও বেশ কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় থাকাসহ তাদের জীবিকা নির্বাহের উদ্যোগও প্রকল্পের আওতায় নেয়া হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।জলবায়ু উদ্বাস্তু এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে ভূমিহীন ৩ হাজার ৮০৮টি পরিবারের পুনর্বাসনসহ জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে দারিদ্র্যের হার কমানো প্রকল্পটির উদ্দেশ্য।
চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মত হলো, জলবায়ু উদ্বাস্তু ও ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনসহ জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় দারিদ্র্যের হার কমাতে ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ফলে প্রকল্পটি অনুমোদন করা যেতে পারে।
অর্থসংবাদ/এ এইচ আর ১০:২২/ ১১:২৫:২০২০