নীলগিরি বান্দরবান জেলার রোমা উপজেলায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে নীলগিরি অন্যতম। এই পর্যটন কেন্দ্রটি বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে তেংপ্লং চুট পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত। বান্দরবানের আলীকদম থেকে থানচীগামী রাস্তা ধরে পাহাড়ী পথে নীলগিরি পৌঁছানো হয়। এই পাহাড়টিতে পৌঁছাতে শহর থেকে ৪৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। এর উচ্চতা ২২০০ ফুট। সর্বদা মেঘমণ্ডিত আর এটাই এই পর্যটন কেন্দ্রের মূল আকর্ষণ।
এই পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য রয়েছে অনেক রকমের গাড়ি। বান্দরবান থেকে নীলগিরি যেতে জিপ, চাঁন্দের গাড়ি, মহেন্দ্র, প্রায় অনেক ধরনের গাড়ি পাওয়া যায়। বেশির ভাগ মানুষ চাঁন্দের গাড়িতে আসা যাওয়া করে। কারণ, এই গাড়িতে করে ভ্রমণ করলে পাহাড়ের বুকে সবুজ গাছগাছালী মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। চাঁন্দের গাড়ি গুলােতে ১২-১৩ জন বসা যায়। একটি গাড়ি রিজার্ভ করতে হয় ৪০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকা দিয়ে।
দেবতা কুম:
চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান জেলার আরও একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত জায়গা। ইহার দুই পাশে পাথরের পাহাড় এবং মাঝখানে পানি প্রবাহিত হয়ে থাকে। দেবতা কুম পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।
দেবতা কুম বান্দরবান জেলার বোয়াংছড়ি উপজেলায় অবস্থিত।
বান্দরবানের স্থানীয়দের মতে, এটি প্রায় ৫০ ফুট গভীর এবং প্রায় ৬০০ ফুট দীর্ঘ। এ পাহাড়ের দুই পাশে রয়েছে জঙ্গল এবং পাথর। এ কারণে সূর্যের আলো কুমের ভিতর প্রবেশ করতে পারে না। কোলাহল মুক্ত পরিবেশ। মানুষ সবচেয়ে বেশি উপভােগ করে বাঁশের ভেলা করে কুমের ভেতর প্রবেশ করাটা। পর্যটকদের মনে অন্যরকম রোমাঞ্চ সৃষ্টি করে।
বান্দরবান সদর থেকে প্রথমে রোয়াং ছড়ি যেতে হবে। রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলী বাজারে এসে লিরাগাঁও সেনানিবাসে অনুমতি নিতে হয়। সেখান থেকে প্রায় ১ ঘন্টা অতিক্রম করে শীলবাঁধা যেতে হয়। শীলবাঁধা পাড়ার কাছেই দেবতা কুম।
অর্থসংবাদ/এসএ/১৫:৩১/১১:২৫:২০২০