আজ সোমাবার (৩০ নভেম্বর) ‘আইপিওর সাবক্রিপশন নিয়ে গণশুনানি’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর কমিশনার মো. আব্দুল হালিম এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে কমিশনার আব্দুল হালিম বলেন, কম সময়ে ও সহজ নিয়মে আইপিওর সাবক্রিপশন পদ্ধতি আমরা চালু করতে চাই। এতে সাধারণ, ক্ষতিগ্রস্ত এবং যোগ্য ও এনআরবি বিনিয়োগকারী সবাই অংশগ্রহণ করবেন। সঠিকভাবে তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন। একটি গতিশীল পুঁজিবাজার গড়তে কাজ করবেন। এই পুঁজিবাজার দেশের জিডিপি অনুপাতে অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
গণশুনানির উদ্বোধন করেন বিএসইসির কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার সাইফুর রহমান মজুমদার এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান অনুষ্ঠানে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের বক্তব্য শুনেন। এরপর তাদের প্রস্তাবগুলোর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি প্রদান করেন।
বিএসইসি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত গণশুনানিতে অন্যান্যদের মধ্যে সিডিবিএলের এমডি শুভ্র কান্তি চৌধুরীসহ যোগ্য বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে রোড-শো আইন বাতিল করা, বিএসইসি কোনো কোম্পানিকে আইপিওর বিডিং অনুমোদন দেওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে একটি প্রসপেক্টাস তৈরি করার প্রস্তাব করেন। বর্তমানে একাধিকবার প্রসপেক্টাস ছাপাতে হয়।
এছাড়াও সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতির সময় কমিয়ে আনা, আইনগুলো সহজ করা এবং আইপিওতে আবেদন করতে সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
গণশুনানিতে বিএসইসির পক্ষ থেকে প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হবে বলে জানানো হয়। বর্তমানে কোন কোম্পানিকে আইপিওর অনুমোদন দেওয়ার পর থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন শুরু হতে প্রায় ৬০ কার্যদিবসের মত সময় অপেক্ষা করতে হয়। অর্থাৎ লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়।
অর্থসংবাদ/ এমএস