ইন্টারের কথাই দেখুন, শুধু নব্বইয়ের দশকেই দু-দুবার সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে খেলোয়াড় কেনার রেকর্ডটা ভেঙেছিল তারা। প্রথমে ব্রাজিলের তারকা স্ট্রাইকার রোনালদোকে বার্সেলোনা থেকে নিয়ে এসেছে। দ্বিতীয়বার এনেছে ইতালিয়ান স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ান ভিয়েরিকে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে । এরপর ইন্টার দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে আর কাউকে আনেনি। তাই বলে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে যে কাউকে আনার চেষ্টা করেনি, তা কিন্তু নয়।
রোনালদো, ভিয়েরি, জানেত্তি, ব্যাজ্জিও, স্নাইডার, ভেরন, লুসিও কিংবা আদ্রিয়ানোর মতো তারকাদের দলে আনা ইন্টার দলে আনতে চেয়েছিল লিওনেল মেসিকেও। শুধু তা-ই নয়, ১৯ বছর বয়সী মেসিকে দলে আনার জন্য সেই ২০০৬ সালে আকাশছোঁয়া মূল্য দিতেও পিছপা হয়নি।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় তখন ছিলেন জিনেদিন জিদান। জুভেন্টাসের এই মিডফিল্ডারকে দলে নেওয়ার জন্য ২০০১ সালে পৌনে আট কোটি ইউরো (৭৭.৫ মিলিয়ন ইউরো) বা প্রায় ৭৯০ কোটি টাকা খরচ করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। মেসির জন্য ইন্টারের প্রস্তাব ছিল এর প্রায় চারগুণ। ১৯ বছর বয়সী মেসির প্রতিভা দেখে ইন্টারের তৎকালীন সভাপতি মাসিমো মোরাত্তি ২৫ কোটি ইউরো (২৫০ মিলিয়ন ইউরো) বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি দিতে চেয়েছিলেন। এমনকি ২০১৭ সালে নেইমারকে কিনতেও এত অর্থ খরচ হয়নি পিএসজির। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ারডকে পেতে ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো খরচ করেছে দলটি।
অর্থসংবাদ/ এমএস