এদিকে কোম্পানি আইন-১৯৯৪ এর ৫৭ ধারা ভঙ্গ করে এনার্জিপ্যাকের আইপিও অনুমোদন দেওয়ায়- এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট দায়ের করা হয়েছে।
বিএসইসির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আজ ৩ ডিসেম্বর মো: সাজিদ হোসেন এবং মো: আখতারুজ্জামানের পক্ষে হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত রিট দাখিল করেছেন বাংলাদেশ সু্প্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ এনাম।
এ ব্যাপারে ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ এনাম সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ( বিএসইসি) এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডকে আইপিওর মাধ্যমে মূলধন উত্তোলনের জন্য যে কনসেন্ট লেটার দিয়েছে সেটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালতের কাছে সেটাকে আমরা অবৈধ চেয়েছি। আমরা বলতে চেয়েছি এটা ইলিগ্যাল। এনার্জিপ্যাকের প্রতিটি শেয়ার দর ৩৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে যার ২৫ টাকা হচ্ছে প্রিমিয়াম। কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর ৫৭ ধারায় এই প্রিমিয়ামের টাকার জন্য আলাদা শেয়ার প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট খোলার কথা রয়েছে। কিন্তু বিএসইসি এনার্জিপ্যাকের আইপিও’র মাধ্যমে উত্তোলিত পুরো অর্থ বিভিন্ন খাত উল্লেখ করে ব্যয় করার জন্য কনসেন্ট লেটার দিয়ে দিয়েছে যা অবৈধ। তাই আদালতের কাছে আমরা নির্দেশনা চেয়েছি যে, কেন শেয়ার প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট খোলা হবে না এবং কোম্পানির আইন ১৯৯৪ এর ৫৭ ধারা অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে না।
ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ এনাম আরো জানান, এই নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি আরেকটি নির্দেশনা আমরা চেয়েছি। সেটা হলো, এই রুল পেন্ডিং থাকা অবস্থায় এনার্জিপ্যাকের আইপিও স্থগিত রাখা হোক।