সব ঠিক থাকলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবেন তারা।বিগত বছর গুলোতে ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। সেই ফলাফল প্রকাশের পর মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাধারণত অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ করা হয়। ১০ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন শেষে পাঠদান শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার মহামারির কারণে সবকিছুই অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
তবে পরীক্ষার বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর গণমাধ্যমকে বলেন, “ভর্তি পরীক্ষা নেব- এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। এটা মার্চের শুরুর দিকে হতে পারে। কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা পরিকল্পনা সাজাচ্ছি।”
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা এইচএসসির ফলাফলের অপেক্ষা করছি। হয়তো তাড়াতাড়িই রেজাল্ট দিয়ে দিবে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে অফিসিয়ালি সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা চিন্তা করছি, পরীক্ষা আগের নিয়মে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার, আমরা তা করব। আমরা এখনও ফাইনাল করিনি। মার্চের শুরুর দিকে চিন্তা করছি। ফাইনাল করে আপনাদের জানিয়ে দেব।”
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ৭২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এ বছর দেশের ৩৬টি সরকারি ও ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ১০ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।আর সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ এবং মেডিকেল কলেজ সংযুক্ত ডেন্টাল ইউনিট মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৩৭ জন শিক্ষার্থী বিডিএস কোর্সে ভর্তি হতে পারেন।