অলোচিত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা। যা মোট লেনদেনের প্রায় ৮০ শতাংশ।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে গত সপ্তাহে দাম বেড়েছে ২০৬টির, কমেছে ৮৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮টি সিকিউরিটিজের শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১৪৪টির, কমেছিল ১৪০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৭৭টি সিকিউরিটিজের শেয়ারের দাম।
বিদায়ী সপ্তাহে তিনটি সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসএক্স সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস -৩০ সূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭২৭ পয়েন্টে আর ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও সূচক বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ৮ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬ লাখ ১৪ হাজার ২৪৬টাকা বেড়ে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৮ কোটি ৬২ লাখ ৬২ হাজার ৯৪টাকায় দাঁড়িয়েছে।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানি হল ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেড, আমরা নেটওয়ার্কস, দ্যা পেনিনসুলা চিটাগাং, মিরাক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, রংপুর ডেইরি, হামিদ ফেব্রিস, ন্যাশনাল ফিড, নাভানা সিএনজি এবং কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
দাম কমার শীর্ষে হল- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানি, আইএফআইসি ব্যাংক ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, এসইএএল আইবিবিএল শরীয়াহ ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এসিআই লিমেটেড, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, শ্যামপুর সুগার মিলস, পপুলার লাইফ ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আইসিবি এএমসিএল ফাস্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুায়াল ফান্ড।
একই সপ্তাহে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১২৫ কোটি ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮০৪ টাকা। এর মধ্যে এ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদনে হয়েছে ৯২ কোটি টাকা যা শতাংশের হিসেবে ৭৪ শতাংশ।
আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের দাম বেড়েছে ১৭৬টির, কমেছে ৮৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টি সিকিউরিটিজের শেয়ারের দাম। ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৩১০ পয়েন্ট।