বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। তিনি জানান, আসাদুজ্জামান নূরের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো আছে। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারী-২ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
৭৪ বছর বয়সী আসাদুজ্জামান নূর একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি।
‘বাকের ভাই’ খ্যাত এই অভিনেতা ১৯৭২ সাল থেকে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ পর্যন্ত দলের ১৫টি নাটকে ৬ শতাধিক বারেরও বেশি অভিনয় করেছেন তিনি; নির্দেশনা দিয়েছেন ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকটি। তার অভিনীত টিভি নাটক ‘আজ ররিবার’, ‘কোথাও কেউ নেই’ এর ‘বাকের ভাই’, ‘এই সব দিনরাত্রি’র ‘শফিক’, ‘অয়োময়’ নাটকের ‘ছোট মীর্জা’, ‘সবুজ ছায়া’র ‘ডাক্তার’ চরিত্রগুলো আজও মনে রেখেছে দর্শক। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘শঙ্খনীল কারাগার’ (১৯৯২) ও ‘আগুনের পরশমণি’ (১৯৯৪)।
আসাদুজ্জামান নূর ১৯৬৩ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। দেশ স্বাধীনের পর যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। ১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি আবারও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন।