শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ডিএমপির ৪৫ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সফল হয়েছি। মাদকের বিষয়ে ‘জিরো’ টলারেন্স অবস্থানে রয়েছি এবং যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। নতুন প্রজন্মকে যে কোনও মূল্যে মাদক মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের শতভাগ সফল হতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিএমপি পুলিশের বিভিন্ন অভিযান দুর্বার গতিতে চলবে। পুলিশকে জনতার দৌড়গোড়ায় পৌঁছতে হবে। তাহলেই পুলিশ জনতার হবে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রসচিব (জননিরাপত্তা শাখা) মোস্তফা কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রাজধানীতে অপরাধ আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। এটা শুধু পুলিশের ক্রেডিট নয়। এটা জনতার অর্জন। জনতা সচেতন হওয়ায় নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের ওপরে আস্থা রাখুন। আস্থা অর্জনই ডিএমপির একমাত্র লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ৪৪ বছর ধরে চেষ্টা করেছি। জনতার পুলিশ হতে। একজন পুলিশ সদস্যের বিশ্বাস ও ভালোবাসার ওপরে কিছুই পাওয়ার থাকে না। আমরা চেষ্টা করেছি রাজধানীবাসীর বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করতে। সেই লক্ষ্যেই আমাদের প্রত্যেকটি পুলিশ সদস্য কাজ করে যাচ্ছে।
আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ঢাকা শহরকে নিরাপদ রাখতে ডিএমপি সদস্যরা ২৪ ঘন্টায় কাজ করে যাচ্ছে। চেষ্টা করছি ঢাকার প্রত্যেকটি থানাকে বিশ্বাস ও আস্থার কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে। আমরা চাই মানুষ সেবার জন্য থানায় আসবে আর থানা থেকে ফেরার সময় যেন হাসিমুখে ফিরে যায়।
এর আগে বিগত সময়ে ডিএমপির কর্মযজ্ঞ সম্পর্কিত একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীর নেতৃত্বে ডিএমপি প্রধান কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গিয়ে শেষ হয়।