শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীক সংস্থা যেমন বিজিএমইএ, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, বিডা, বেপজা, বেজাসহ অন্যান্যরা বাংলাদেশ দূতাবাসের এই উদ্যোগকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে। ব্যবসা সংক্রান্ত ডাচ সরকারের শীর্ষ সংস্থা নেদারল্যান্ডস ইন্টারপ্রাইজ এজেন্সিও এই উদ্যোগের সঙ্গে প্রথমবারের মত স্বতঃস্ফূর্তভাবে সংযুক্ত হয়েছে।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেদারল্যান্ডস সফরকালে এসব ক্ষেত্রে সম্ভাবনার বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছিল। বর্তমানে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকারী উৎস দেশ এবং ইউরোপে বাংলাদেশি পণ্যের সপ্তম বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য। ২০১৯-২০ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১.২৫ বিলিয়ন ইউরো।
সম্মেলনে যে খাতগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, তা নির্ধারণে ডাচদের আগ্রহের বিষয়টি বিবেচনার পাশাপাশি বাংলাদেশ অর্থনীতির ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধিতে এসব খাতের অর্থনৈতিক গুরুত্বও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
গতানুগতিক ব্যবসা বা বিনিয়োগ সেমিনার বা বি-২-বি বৈঠক হতে ভিন্নধর্মী এই সম্মেলন সুনির্দিষ্ট খাতভিত্তিক তিনটি ওয়েবিনারের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হবে যেখানে আগ্রহী ডাচ উদ্যোক্তারা বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের খাত সংশ্লিষ্ট মুখ্য ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যক্তি/বেসরকারি খাতের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠানের/অংশীদারদে সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করার চেষ্টা করবে।
আগ্রহী যে কেউ এই (ভার্চুয়াল) সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচার নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজ এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশি অংশীদারদের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি দেখতে পারবেন।
বিনিয়োগ সম্মেলনের পর ১০ ডিসেম্বর দূতাবাস নেদারল্যান্ডস ইন বাংলাদেশ: ম্যাপিং দি গ্রাউন্ড ৫০ স্টিচিং পার্টনারশিপ’ বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মুখ্য অর্থনৈতিক অর্জনসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডসের বেসরকারি/ব্যক্তি খাতের মধ্যে সম্ভাবনা ও সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিগত পাঁচ দশকে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বাংলাদেশের আস্থাশীল রাজনৈতিক এবং গভীরতর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। বৈদেশিক সহায়তার গন্ডির বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রেএখন ডাচদের জ্ঞান, উদ্ভাবন, উন্নত প্রযুক্তি এবং বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা ইত্যাদি প্রবর্তনের ক্ষেত্র প্রসারিত ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে।