তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান ও পরীক্ষার বিষয়টি তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের ওপর ছেড়ে দেয় ইউজিসি। এর পরও সম্প্রতি বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় কভিডকালে সম্পন্ন বিভিন্ন সেমিস্টারের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার বিষয়ে করণীয় জানতে চেয়ে ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী রোববার দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বসবে ইউজিসি।
গতকাল অনুষ্ঠিত ইউজিসির মাসিক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরসহ কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন,এর আগে আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিল পূর্ণ স্বাধীনতার সঙ্গে তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এর পরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা বিষয়ে করণীয় জানতে চেয়ে আমাদের চিঠি দিয়েছে। এজন্য মাসিক সভায় বিষয়টি আলোচনায় আনা হয়েছে। শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আগামী রোববার বেলা ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমন্বিত নীতি বা নির্দেশনা দেয়ার চেষ্টা থাকবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের একাডেমিক পরীক্ষার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে ইউজিসির কাছে চিঠি দিয়েছে