হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার রেলস্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেন উদ্ধারের পর রোববার রাত সাড়ে ১২টায় সিলেটের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহজীবাজার স্টেশন মাস্টার মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, আপাতত একটি পরিত্যক্ত লাইন মেরামত করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এছাড়া মূল লাইনটি সংস্কারের কাজ চলছে।
এদিকে, ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনা খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীন জানান, ডিভিশনাল লেভেলে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ও বিভাগীয় প্রধান চিফ মেকানিক্যাল কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৪ সদস্যের অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দুটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার স্টেশনের কাছে লাইন রক্ষণাবেক্ষনের কাজ করছিলেন একদল শ্রমিক। এ সময় কোন সিগনাল না থাকায় আখাউড়া থেকে সিলেটগামী একটি তেলবাহী ট্রেন মেইন লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অটোমেটিক ট্রেনের ইঞ্জিন ২নং লাইন এবং বগিগুলো মেইন লাইন দিয়ে চলে যায়। যে কারণে ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। উল্টে যায় দুটি বগি। এ সময় ট্রেনের বগিতে হালকা অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও স্থানীয় লোকজনই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনেন।
দুর্ঘটনার জন্য স্টেশন মাস্টারের ভুলকে দোষারোপ করছেন ট্রেনের চালকরা। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের সহকারী চালক হামিদ আহমেদ বলেন, লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলছিল। কিন্তু আমাদের কোন নোটিশ বা সিগনাল দেয়া হয়নি। ফলে ট্রেনটি মেইন লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ইঞ্জিন অটোমেটিক ২নং লাইনে চলে যায়। এছাড়া বগি চলে যায় ১নং লাইনে। যে কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পর থেকে শাহজীবাজার স্টেশন মাস্টার মোফাজ্জল হোসেনকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে একজন উপ-প্রকৌশলী ছাড়া কেউ ছিলেন না। বিকেলে সিলেট থেকে এবং সন্ধ্যায় আখাউড়া থেকে দুটি উদ্ধাকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় প্রায় ২শ’ ফিট রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
অর্থসংবাদ/এসএ