আজ (৭ ডিসেম্বর) সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠপ্রশাসন অনুবিভাগ) শেখ রফিকুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সচিব বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসি সম্মেলন হবে আগামী ৫, ৬ ও ৭ জানুয়ারি। ডিসিরা আগের মতোই ঢাকায় আসবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এটা অনুষ্ঠি হবে। এমনটাই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। তবে সেটা অন্যান্য সময়ের মতো প্রধানমমন্ত্রীর কার্যালয়ে হবে, নাকি ভার্চুয়ালি হবে সেটা নির্ধারিত হয়নি। সম্মেলনের সময়টা ঠিক হয়েছে, তবে অন্যান্য বিষয় এখনও চূড়ান্ত নয়।’ সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রতি বছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এবার এখনও এই সম্মেলন আয়োজন করতে পারেনি সরকার। গত বছর ১৪ থেকে ১৮ জুলাই ডিসি সম্মেলন হয়েছে।
এর আগে ডিসি সম্মেলন হতো তিন দিনব্যাপী, গত বছর থেকে তা পাঁচ দিনব্যাপী হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উদ্বোধন করেন। গত বছরই জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রথমবারের মতো প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনী প্রধান, জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা বৈঠক করেন। ডিসি সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ডিসিদের কার্য অধিবেশন, এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনা, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও একটি সমাপনী অনুষ্ঠান থাকে।
কার্য অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকেন। সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা লিখিতভাবে মাঠ প্রশাসনের সমস্যাগুলো নিয়ে প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। অধিবেশনের সময় এগুলো ছাড়াও ডিসিরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।
অর্থসংবাদ/এসএ