মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা প্রথম স্লটে ‘নোট ১০ লাইট’ ৭০০-৮০০ সেট তৈরি করেছি। ওগুলো শেষ হলে নতুন করে তৈরির কথা ভাবা যাবে। তিনি জানান, এর আগে ফেয়ার ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেড গত বছর গ্যালাক্সি নোট ১০ প্লাস তৈরি করে। যার দাম রাখা হয় এক লাখ ১৩ হাজার টাকা। আমরা দেড় হাজার সেট বাজারে ছেড়েছি। এগুলো ফ্ল্যাগশিপ মডেল। চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বাজারে ছাড়া হয়। বছরে বিক্রিই হয় ৫-৬ হাজার সেট। ফলে বাজার থেকে শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে এটা তৈরির কোনও সুযোগ নেই। বাজারে ছাড়া ফ্ল্যাগশিপ মডেলের কোনও সেটের জন্য এখনও অভিযোগ আসেনি বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, আমদানি করা ‘নোট ১০ প্লাস’ সেটটির দাম ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। সেই হিসেবে দেশে সংযোজিত ফোনটির দাম কম পড়ছে ৩১ হাজার টাকা।
ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের সূত্রে জানা গেছে, আগামীতে নতুন কোনও মডেলের সেট তৈরি হবে সেটা এখনও স্যামসাং প্রতিষ্ঠানটিকে জানায়নি। তবে প্রতি বছরের প্রথম কোয়ার্টারে (প্রান্তিকে) স্যামসাং ‘এস’ সিরিজের ফোন বাজারে ছাড়ে। সেই হিসেবে ফেয়ার ইলেকট্রনিকস কর্তৃপক্ষ আশা করছে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ বা মার্চের শুরুতে নতুন ফোন তৈরির নির্দেশনা আসতে পারে।
জানা গেছে, দেশে তৈরি গ্যালাক্সি ‘নোট ১০ লাইটে’ থাকছে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম যা এক টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। থাকছে ৪৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যাতে থাকছে সুপার ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ফোনটির দাম ৪০ হাজার রূপি।