অতিরিক্ত পা ফাটা কমাতে: অতিরিক্ত পা ফাটা কমাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে গোড়ালিতে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। পাতলা মোজা পরে নিতে হবে। এতে পায়ের ত্বক আর্দ্রতা পাবে। তবে দিনের বেলায় এটা ব্যবহার করা যাবে না। এতে পায়ে ময়লা আটকে যাবে।
পা ফাটা কমাতে প্যাক: একটি গামলায় কুসুম গরম পানি নিন। আধা কাপ কাঁচা দুধ, এক মুঠো গোলাপের পাপড়ি, ২–৩টি নিমপাতা, ১ ফোঁটা এসেন্স অয়েল ও ২–৩ ফোঁটা জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট পর পা স্ক্রাব করে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে ফেলুন।
পায়ের শুষ্কতা কমাতে সারা দিনে ব্যবহারের জন্য তেলের প্যাক ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে। বাদামের তেল ১ চা-চামচ, জলপাই তেল ১ চা-চামচ ও ক্যাস্টর অয়েল ১ চা-চামচ মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে মালিশ করুন। সারা দিন অল্প অল্প করে এই তেলের প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
১টি ছোট কলা ভালোভাবে চটকে নিয়ে তাতে ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে পায়ে ব্যবহার করুন। পায়ের গোড়ালিতে মালিশ করতে করতে শুকিয়ে গেলে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই প্যাক উপকারী। শেষে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন।
পা পরিষ্কার করতে স্ক্রাব: পায়ের নিচের মরা চামড়া দূর করতে শীতেও নিয়মিত স্ক্রাব করতে হবে। তবে স্ক্রাবের পর অবশ্যই ক্রিম ব্যবহার করুন। এই পদ্ধতিতে না গেলে গোড়ালির চামড়া আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যাবে ও পা ফাটবে। ১ চা-চামচ জলপাই তেল বা নারকেল তেলের সঙ্গে ১ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। পা পানি দিয়ে ধুয়ে স্ক্রাব করতে পারেন চিনি গলে না যাওয়া পর্যন্ত। শেষে পানি দিয়ে পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করে নিতে হবে।
আরও পরামর্শ: ঘরে খালি পায়ে একেবারেই হাঁটা যাবে না। এতে পায়ে ময়লা জমে বেশি। ত্বকের কমণীয়তা নষ্ট হয়। পা ফাটা কমাতে যতটা সম্ভব সামনে–পেছনে বন্ধ আছে, এমন জুতা পরতে হবে। শরীরে পানির পরিমাণ কম থাকলে পা ফাটা শুরু হয়। তাই প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর পানি, ফল ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন রাখুন। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য পা ফাটা হতে পারে বিপদের। তাই নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন।