তিনি অাজ মঙ্গলবার নিজ দপ্তরে ঢাকার ইউএই দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আবদুল্লাহ আলি আলহামৌদির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএই ও বাংলাদেশ একই বছর স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ইউএই’র প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের গভীর সম্পর্ক ছিল। আমাদের দেশ গঠনের ক্ষেত্রেও শুরু থেকে ইউএই’র অনেক ভূমিকা ছিল।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। ইতোমধ্যে মীরসরাই ইকোনমিক জোনে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর হচ্ছে। সেই শিল্প নগরে ইউএই জায়গা চেয়েছে, যাতে সেখানে শিল্প উদ্যোগক্তারা শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগ করতে পারে। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ জায়েদ বিন আল নাহিয়ানের সম্মানে আমার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বহু আগে ১০০ একরের বেশি জায়গা দেয়া হয়েছিল। সেখানে একটি হাসপাতাল ও নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করা যায় কি না সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়া ইউএই বাংলাদেশে ফুড প্রসেসিং শিল্প স্থাপন করতে আগ্রহী।’
‘ইউএইতে আমাদের লাখ লাখ শ্রমিক নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছে। তারা সেখানে অন্যান্য দেশ থেকে অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করছে,’ বলেন তিনি।
আরব আমিরাতে শ্রম ভিসা বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে যে জটিলতা ছিল সেগুলোর অনেকগুলো সমাধান হয়েছে। অন্য সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। সেগুলো আন্ডার প্রসেসে আছে।’
আবদুল্লাহ আলি আলহামৌদি এ সময় বলেন, ‘দুই দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সে জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে অংশীদার। আমরা সে জন্য কৃতজ্ঞ।’
করোনা পরবর্তী সময়ে কর্মীদের আমিরাতে যাওয়ার বিষয়ে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, ‘চলমান মহামারির মধ্যে যেসব কর্মীর স্থায়ী বসবাসের অনুমতি রয়েছে তারা টিকিট কেটে সরাসরি আরব আমিরাত চলে যাবে। এর জন্য আলাদা কোনো অনুমতির প্রয়োজন হবে না। করোনা মহামারি নিয়ে গোটা বিশ্ব সংকটে আছে। মহামারির পর বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য শ্রম ভিসা অনেকটা সহজ হবে।’
সূত্র : ইউএনবি