জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ও গোয়ালন্দ মোড়ের সড়কে সিরিয়ালে আটকা পড়েছে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ কয়েকশ যানবাহন। সিরিয়ালে আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
এদিকে একই কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথেও ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়।
জানা গেছে, রাত সাড়ে দশটার পরে কুয়াশার মাত্রা বেড়ে গেলে নৌরুটের দিক নির্দেশনামূলক বাতিগুলো ঝাপসা হয় আসে। ফলে নৌপথে দিক নির্ণয়ে ব্যর্থ হয় ফেরিগুলো। ফলে পৌনে ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়া বাংলাবাজার থেকে একটি রোরো ফেরি শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলে কুয়াশার কারণে মাঝ পদ্মায় নোঙর করে রেখেছে।
এছাড়া চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটেও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এতে নদী পারের অপেক্ষায় পাড়ে আটকা পড়েছে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ কয়েকশ যানবাহন। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে মেঘনা নদীতে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।