পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে দুপুরের পর মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ শেষ স্প্যানটি নিয়ে রওনা হয়। এরপর বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার পর ক্রেনটি নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পৌঁছায়। স্প্যানটি ছয়টি ক্যাবলের (তার) মাধ্যমে ভাসমান ক্রেনের উপর অবস্থান করছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে পিলারের উপরে স্প্যানটি বসানো হবে। প্রথমে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে স্প্যান বহনকারী ভাসমান ক্রেনটি পজিশনিং করবে। এরপর স্প্যানটিকে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে তোলা হবে পিলারের উচ্চতায়। পরে রাখা হবে দুটি পিলারের বেয়ারিংয়ের উপর। স্প্যানটি বসানোর জন্য ধাপগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হলেই দৃশ্যমান হবে পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের আরও বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট সিডিউল অনুযায়ী আজকে সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং সেই মোতাবেক চলবে। বৃহস্পতিবার সেই মহেন্দ্রক্ষণ। যার অপেক্ষায় স্বপ্ন বুনছে বাংলার মানুষ। আশাকরি, সবকিছু সঠিকভাবেই সম্পন্ন হবে।