আজ (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যান।
আসামি ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসান ও তৌহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। সাজপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা পালাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
২০১৫ সালের ১৩ মে ধানমন্ডি থানার এসআই সাহিদুল বিশ্বাস ৪৭ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আজ এই আদেশ দেওয়া হলো।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৯ জুন সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলার বিষয় নিয়ে আয়াজের বড় ভাই সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশদিন হকের সঙ্গে আসামিদের কথাকাটাকাটি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। ওই দিন বিকালে ধানমন্ডি থানার জিগাতলার যাত্রী ছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে মারপিট করে গুরুতর জখম করে আসামিরা।
তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আয়াজের বাবা আইনজীবী শহীদুল হক ৯ জুন ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছয় ছাত্র ইনজামামুল ইসলাম ওরফে জিসান, তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যানের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।