সংকট থেকে পুনরুদ্ধারে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্থা ও পরিবারগুলোকে ১২ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। জি২০ গ্রুপের উন্নত অর্থনীতিগুলোতেই এ সহায়তার পরিমাণ প্রায় ১১ ট্রিলিয়ন ডলার। এটি ২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধারে দেয়া প্রতিশ্রুতির চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি।
করোনা-পরবর্তী সময়ে জ্বালানির জন্য পাবলিক ফাইন্যান্সের তথ্য সংকলন করা কয়েকটি সংস্থার একটি দল এনার্জি পলিসি ট্র্যাকার বলছে, বিপুল অংকের এ প্রণোদনা আগামী কয়েক দশক ধরে বিশ্ব অর্থনীতি গড়তে সহায়তা করবে। কিন্তু এ সিদ্ধান্তগুলো অসহনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে কিংবা পরিবেশবান্ধব জ্বালানির মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ অর্থনীতি তৈরি করতে পারে।
নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, স্টকহোম এনভায়রনমেন্ট ইনস্টিটিউট, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট ও ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইকোনমিকস যৌথভাবে অধ্যয়নটি পরিচালনা করেছে। গবেষণা দলটি গণনা করেছে, জি২০ দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি অপারেশনগুলোয় কমপক্ষে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ১৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
জার্মানি বৈদ্যুতিক যানবাহনে ১২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে এবং একই পরিমাণ অর্থ দেশটি ডিজেলচালিত লরিগুলোয়ও বিনিয়োগ করবে। ভারত বৈদ্যুতিক যানবাহনের পাশাপাশি কয়লা ও মিথানল প্রকল্পগুলোয় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছে। এর বাইরে ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেন কেবল জলবায়ুর জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রণোদনার এক-তৃতীয়াংশ ৭৫ হাজার কোটি ইউরো পরিবেশ প্রকল্পে যাওয়ার কথা রয়েছে।