মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি ও সংকটের কারণ ব্যাখা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর আমাদের ২৫-২৬ লাখ টন পেঁয়াজ প্রয়োজন। দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। তাই প্রতিবছর ৮-৯ লাখ টন পেঁয়াজ আমাদের আমদানি করতে হয়। আর সেই আমদানি করা পেঁয়াজের ৯০ শতাংশই ভারত থেকে আসে। কিন্তু গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। তাদের দেশে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা হয়ে যায়। যে কারণে আমাদের এখানেও একটা সংকট তৈরি হয়।
তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমার থেকে চাহিদার ১৫ শতাংশ এবং বাকি পেঁয়াজ তুরস্ক থেকে আমদানি করে থাকি। কিন্তু তা আসতেও তো প্রায় ৫০ দিন লেগে যায়। প্রতিদিন দেশের চাহিদা ৬ হাজার টন হলেও বাজারে আমদানি ছিল দেড় হাজার টন। যার জন্য পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তবে আমরা নিজেরা উৎপাদন করছি, এবছর ১৫-৩০ শতাংশ পেঁয়াজ বেশি উৎপাদন হবে।