বেআইনিভাবে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই ৯ জানুয়ারি

বেআইনিভাবে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই ৯ জানুয়ারি
আইন ও বিধিহির্ভূতভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গেজেটভুক্ত প্রায় ৪০ হাজার ব্যক্তির নথিপত্র যাচাই-বাছাই পিছিয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ ডিসেম্বর এই যাচাই-বাছাই হওয়ার কথা ছিল। তবে এই যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ওয়েবসাইটে প্রর্দশিত ৩৯ হাজার ৯৬১ জনের তালকায় গেজেটভুক্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসায় বির্তকের মুখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যাদের ভুলক্রমে ওই তালিকায় এসেছে তাদেরকে স্ব উপজেলায় নথিপত্রসহ যোগযোগ করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা বা মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃত ৩৩ ধরনের প্রমাণে অন্তর্ভুক্ত থাকলে, তিনি যাচাই-বাছাই এর আওতাবর্হিভূত থাকবেন। এ ধরনের কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভুলক্রমে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বা জামুকা'র ওয়েবসাইটে যাচাই-বাছাইযোগ্য তালিকায় প্রকাশিত হয়ে থাকলে, তালিকা হতে নাম বাদ দেয়ার জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে/ মহানগরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।

গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় আইন ও বিধিহির্ভূতভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গেজেটভুক্ত ব্যক্তিদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থানীয় এমপি যদি মুক্তিযোদ্ধা হন তাহলে তিনি অথবা জামুকা মনোনীত প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন-স্থানীয় এমপির মনোনীত প্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসক মনোনীত প্রতিনিধি। তবে তাদেরকে অবশ্যই ভারতীয় তালিকা বা লালমুক্তি বার্তায় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হতে হবে। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ অনুযায়ী কোনো মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীর তথ্য সম্বলিত আবেদন প্রথমে নিজ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে যাচাই হয়। উপজেলা কমিটির সুপারিশে প্রাথমিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হলে ওই তালিকা জামুকায় পাঠানো হয়। জামুকার সভায় তদন্ত ও অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করে মন্ত্রণালয়। কিন্ত ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আইন ও বিধিবহির্ভুতভাবে প্রায় ৫৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে যারা ভারতীয় তালিকা বা লালমুক্তি বার্তায় অন্তভুক্ত আছেন তাদের যাচাই বাছাই করা হবে না। সে হিসেবে পুনঃযাচাইয়ে ৩৯ হাজার ৯৬১ জনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু