২৫ কোম্পানির বোর্ড পুন:গঠনে কমিটি

সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর বোর্ড পুন:গঠনে কমিটি হচ্ছে। আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ২৫ টি কোম্পানির নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে।বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসি সুত্র জানায়, সম্মিলিত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে অতিরিক্ত ২ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে। এক্ষেত্রে স্বতন্ত্র পরিচালকগন ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়টি তদারকি করবেন। আর তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করবে। এছাড়া অতিরিক্ত নিয়োগকৃত স্বতন্ত্র পরিচালকেরা প্রতি প্রান্তিক শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিএসইসিতে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

কোম্পানিগুলো হলো- অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, অগ্নি সিস্টেম, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, অ্যাপোলো ইস্পাত, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, সেন্ট্রাল ফার্মা, ডেল্টা স্পিনিং,ফ্যামিলিটেক্স, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং সিরামিকস, ফুওয়াং ফুড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ইমাম বাটন, এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, ইনটেক লিমিটেড, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, নর্দান জুট, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ফার্মা এইড, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং তাল্লু ‍স্পিনিং।

এ বিষয়ে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এ জাতীয় কোম্পানিগুলো কমিশনের নির্দেশনা জারির পরবর্তী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইব্রিড সিস্টেমে (স্বশরীর বা ডিজিটাল) সাধারণ মিটিং (এজিএম বা ইজিএম) আয়োজন করবে।  নতুন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচনের জন্য সিডিবিএলের পর্ষদ ৩ সদস্যের ১টি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ গঠন করা ওই কমিশন শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ মিটিংয়ে নির্বাচনের জন্য সিডিউল ঘোষণা করবে।

সূত্র জানায়, সিডিবিএল ওই নির্বাচনের জন্য কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করা যোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রদান করবে। একইসঙ্গে ভোটার তালিকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। ওই তালিকার মধ্য থেকে কোম্পানির পর্ষদ পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য যোগ্য প্রার্থী সুপারিশ করবে। তবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যদি কোম্পানির পর্ষদ না থাকে বা বিদ্যমান পর্ষদের কোন সুপারিশ না থাকে, তাহলে সিডিবিএলের সরবরাহ করা তালিকাই পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য সুপারিশকৃত যোগ্য প্রার্থী হবে। এই নির্বাচনের জন্য সিডিবিএল শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অনলাইন-ইভোটিং প্লাটফর্ম বা সিস্টেম সরবরাহ করবে। এছাড়া সিডিবিএলের সঙ্গে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। অনলাইন/ইভোটিং প্লাটফর্ম বা সিস্টেমে শেয়ারহোল্ডারদেরকে ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে। সেটা পরিচালক নিয়োগ বা সাধারণ মিটিংয়ে যেকোন প্রস্তাবিত রেজুলেশেনের জন্য।

সূত্র জানায়, এছাড়াও শেয়ারহোল্ডারের পক্ষে সাধারণ মিটিংয়ে অংশগ্রহণ ও ভোটদানের জন্য কোম্পানি হার্ড বা সফট প্রক্সি ফর্ম পাঠানো, সাধারণ মিটিং চলাকালীন পর্যন্ত ভোট প্রদান সিস্টেম, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ফলাফল সিডিবিএল দ্ধারা প্রমাণিত বা সত্যায়িত হতে হবে, অনুমোদনের জন্য মিটিং শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে।

স্টক এক্সচেঞ্জ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কর্মকর্তা (সর্বনিম্ন সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক পদধারী) নিয়োগ দিতে পারবে, নির্বাচন কমিশন যেকোন সমস্যা বা বিতর্কের সমাধান করবে এবং বিএসইসি নির্বাচন কমিশনের যেকোন সিদ্ধান্ত আপিলের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। সবশেষে বিএসইসির সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত