নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সম্প্রতি আলোচিত শেয়ারগুলো ৬ মাসের জন্য অবরুদ্ধ করে রাখতে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) নির্দেশ দিয়েছে। শেয়ারের পরিমাণ ১ কোটি ৮০ লাখ প্রায়।বিএসইসির প্রাথমিক অনুসন্ধানে শেয়ার জালিয়াতি এবং তাতে এসএস স্টিল কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতার কিছু আলামতও মিলেছে।বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।একইসঙ্গে এসএস স্টিল কর্তৃপক্ষের কাছে শেয়ার জালিয়াতির বিষয়ে উঠা অভিযোগের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়েছে। তাছাড়া পুঁজিবাজারের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে।
জানা গেছে,বিএসইসি সম্প্রতি সিডিবিএলকে ৫টি বিও হিসাবে থাকা শেয়ারেরর উপর থেকে লক-ইন না তোলার নির্দেশ দিয়েছে। এই একাউন্টগুলোর একটি হচ্ছে শোরক্যাপ হোল্ডিং লিমিটেড, যার ধারণকৃত শেয়ার সংখ্যা ৯৯ লাখ ৯১ হাজার। এই অ্যাকাউন্টেই ‘জালিয়াতি’র শেয়ারগুলো জমা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। অন্য চারটি অ্যাকাউন্ট হচ্ছে- ইক্যুইটি গ্রোথ লিমিটেড (শেয়ার সংখ্যা ২৯ লাখ ৫০ হাজার), ফুড চেইন এশিয়া (২২ লাখ ৫০ হাজার), অ্যাবসোলিট রিটার্ন লিমিটেড (১৫ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার) এবং সোমা আলম (১২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার)। তবে এই অ্যাকাউন্টগুলো কেন ফ্রিজ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
বিদ্যমান আইন অনুসারে সিডিবিএলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্পন্সরদের মালিকানাধীন শেয়ার এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারের উপর লক-ইন থাকে। কোনো স্পন্সর অথবা প্লেসমেন্টধারী শেয়ার বিক্রি করতে চাইলে স্টক এক্সচেঞ্জের অনুমোদন সাপেক্ষে লক-ইন তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক শেয়ার ফ্রি করে দেওয়া হয়।ফ্রি করে দেওয়ার পরই কেবল ওই শেয়ার বিক্রি করা যায়।
উল্লেখ,গত ২ ফেব্রুয়ারি শোর ক্যাপ হোল্ডিংস নামের একটি প্রতিষ্ঠান সংবাদ সম্মেলন করে এসএস স্টিল লিমিটেডের বিরুদ্ধে অভিনব পন্থায় জালিয়াতি করে তাদের প্লেসমেন্ট শেয়ার হাতিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করে। আর এই জালিয়াতির জন্য সরাসরি এসএস স্টিলের চেয়ারম্যান জাভেদ অপগ্যানহ্যাপেনকে দায়ী করা করা হয়।