বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে নিরাপদ সড়ক চাই কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির যুগ্ম মহাসচিব লিটন এরশাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খান এমপির বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ১শ' কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন 'নিরাপদ সড়ক চাই'-এর (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। মামলা নং- ০৯/২০২০, তারিখ: ১২.০২.২০২০। ইলিয়াস কাঞ্চনের পক্ষে মামলাটি করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম।
গত ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খান এমপি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চন ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন কোথায় থেকে কত টাকা পান, কী উদ্দেশ্যে পান, সেখান থেকে কত টাকা নিজে নেন, পুত্রের নামে নেন, পুত্রবধূর নামে নেন সেই হিসাবটা আমি জনসম্মুখে তুলে ধরবো- যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই সময় ইলিয়াস কাঞ্চন দেশের বাইরে অবস্থান করায় 'নিরাপদ সড়ক চাই'-এর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি এ মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য শাজাহান খানকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু শাজাহান খান তার এ বক্তব্য প্রত্যাহার এবং ক্ষমা প্রার্থনা না করায় নিসচা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন ১০ ডিসেম্বর দেশে ফিরেই পরদিন ১১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি নিজের বক্তব্য তুলে ধরে আবারও এ মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য শাজাহান খানকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সেদিন ইলিয়াস কাঞ্চন জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি (শাজাহান খান) এসব মানহানিকর কথা বলেছেন আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য। সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন সেদিন নিজের, পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা ব্যক্ত করেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি যখন দেশের বাইরে ছিলাম তখন কেন এসব প্রশ্নের অবতারণা। আমি মনে করি এটা পেছন থেকে ছুরিকাঘাতের শামিল। যদি সৎসাহস থাকে তাহলে সামনে এসে প্রমাণ নিয়ে বসুন। কিন্তু তা না করে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে তিনি নিজেকে জাহির করতে চাইছেন। স্বজন হারিয়ে সবার সহযোগিতায় ২৭ বছর ধরে আন্দোলন করছি আমি। কিন্তু এখানে কেন আমার পরিবারকে টেনে আনা হয়েছে। যেহেতু টেনে আনাই হয়েছে শাজাহান খান সাহেবের দায়িত্ব হলো এর সপক্ষে প্রমাণ হাজির করা। নতুবা ক্ষমা চাওয়া। তা না হলে আইনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবো।