কিন্তু এই হারের চেয়েও পিএসজির বড় ক্ষতি করেছেন লিঁওর থিয়াগো মেন্দেজ। ম্যাচের অন্তিম সময়ের কিছুক্ষণ আগে পিএসজি তারকা নেইমারকে জঘন্য ট্যাকল করেন তাঁর দেশেরই এই মিডফিল্ডার। মাঠে ব্যথায় কাতরাতে থাকা নেইমার চোখের জলে ভেসে মাঠ ছেড়েছেন স্ট্রেচারে করে।
নেইমারের ওপর কাল একটু চড়াও হয়েই খেলেছে লিঁও। যোগ করা সময়ে ওই ট্যাকলের আগে নেইমারকে আরও পাঁচবার বিপজ্জনক ট্যাকল করেন লিঁওর খেলোয়াড়েরা।
কিন্তু যোগ করা সময়ের সাত মিনিটের মাথায় মেন্দেজের করা ছয় নম্বর ট্যাকলটি ছিল মারাত্মক। দলকে সমতায় ফেরাতে মরিয়া নেইমার দুজন প্রতিপক্ষকে ড্রিবলিংয়ে টপকে যাওয়ার পর মেন্দেজকেও ড্রিবলিং করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু লিঁও মিডফিল্ডার তাঁকে স্লাইডিং (ডাইভ দিয়ে) ট্যাকল করে থামানোর চেষ্টা করেন।
ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, মেন্দেজের দুই পায়ের মাঝে নেইমারের বাঁ পা আটকে যায়। বাঁ পায়ে গোড়ালির অঞ্চলে মারাত্মক আঘাত পান পিএসজি—সেটি বোঝা গেছে তাঁর ব্যথায় বিকৃত মুখ দেখে।
তাৎক্ষণিকভাবে হাত বাড়িয়ে সাহায্য চেয়ে বসেন পিএসজি তারকা। মাঠে মেডিকেল দল ছুটে গিয়ে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরও কাজ হয়নি।
স্ট্রেচারে করে তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি নেইমার। দুহাতে মুখ ঢেকে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিল তারকা। নেইমারের চোট কতটা মারাত্মক, কত দিন তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে, এ বিষয়ে পিএসজি এখনো কিছু জানায়নি।
ম্যাচের একদম শেষ দিকে নেইমারের বদলি নামাতে পারেনি পিএসজি। তার আগেই নির্ধারিত পাঁচজন বদলি করে ফেলে দলটি। লিঁও–ও ম্যাচ শেষ করেছে ১০ জন নিয়ে।
নেইমারকে ওই মারাত্মক ট্যাকলের পর মাঠের রেফারি বেনোইত বাস্তিয়েন হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন মেন্দেজকে। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য নিয়ে তাঁকে লাল কার্ড দেখান।
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ টমাস টুখেল বলেন, ‘সে (নেইমার) এখন ফিজিও ও চিকিৎসকদের সঙ্গে আছে। চোট কতটা মারাত্মক, তা কাল (আজ) পরীক্ষার পর বলা যাবে।’
২০১৭ সালে দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর এটাই প্রথম চোট নয় নেইমারের; পায়ের মেটাটারসাল হাড়ে দুবার বড় ধরনের চোট পান তিনি।
এ ছাড়া গোড়ালির লিগামেন্টে চোট পেয়ে গত বছর কোপা আমেরিকাও খেলতে পারেননি নেইমার। এবারের চোটে তাঁকে কত দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় কে জানে!