বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনসের সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী জিয়া উল কবির স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, কয়েকটি এয়ারলাইনস যাত্রীদের পিসিআরনির্ভর করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়াই যাত্রী বহন করছে। কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত যাত্রীও বহন করছে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বেবিচক সব এয়ারলাইনসকে আন্তর্জাতিক যাত্রী বহনসংক্রান্ত গত ৬ ডিসেম্বরের সার্কুলারটি মেনে চলার নির্দেশনা দিচ্ছে। কোনো এয়ারলাইনস যদি এ নির্দেশনা না মানে, তবে তাদের ফ্লাইট চলাচলে বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিতাদেশ দেয়া হবে।
নির্দেশনায় বলেছে, করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া বা করোনা আক্রান্ত যাত্রী বহন করলে প্রথমবারের শাস্তি হিসেবে সেই এয়ারলাইনসের একটি শিডিউল ফ্লাইট স্থগিত করা হবে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে তিনটি শিডিউল ফ্লাইট আর তৃতীয়বারে এক সপ্তাহের জন্য সব ফ্লাইট স্থগিত করা হবে। এছাড়াও চতুর্থবার এ অপরাধ করলে এয়ারলাইনসটির ফ্লাইট কমপক্ষে চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হবে। এ আদেশ রোববার রাত থেকেই কার্যকর করা হয়।
গত শনিবার করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া ছয় যাত্রী বহন করায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট। একই দিন করোনা আক্রান্ত এক রোগীকে বহন করে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আনায় এয়ার এশিয়াকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একই কারণে মালদিভিয়ান এয়ারলাইনসকে ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশী-বিদেশী কোনো এয়ারলাইনসই করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া কোনো যাত্রী বাংলাদেশে পরিবহন করতে পারবে না। ৫ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়।