সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০২০’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের মেধা প্রদর্শন করতে পারে, তেমনি প্রচলিত গণ্ডির বাইরে গিয়ে ভাবতে শেখেন। আগামীর জন্য নেতৃত্ব তৈরি করতে পুঁথিগত বিদ্যা এবং করপোরেট কর্মজীবনের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করে এই প্ল্যাটফর্ম। এছাড়া প্ল্যাটফর্মটি কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বেকারত্বের সমাধানও নিশ্চিত করছে, যা বাংলাদেশ সরকারেরও অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের মেধাবী তরুণরা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের এই তরুণ জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের তরুণরা যেন সঠিক জ্ঞান এবং কর্মদক্ষতায় সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তরুণদের প্রতিভা বিকাশে সঠিক প্ল্যাটফর্ম আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সৃষ্টিশীলতা, আবিষ্কার, প্রতিযোগিতা, উৎসাহ, নেটওয়ার্কিং- হচ্ছে সমৃদ্ধির মূল মন্ত্র, যা জীবনে চলার পথকে মসৃণ করে। ’
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম বলেন, ‘গত দেড় যুগের বেশি সময় ধরে ব্যাটেল অব মাইন্ডস দেশজুড়ে কয়েক হাজার মেধাবী তরুণদের এমন একটি প্লাটফর্ম প্রদান করেছে, যেখানে তারা বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করে আসছে। এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সেরাটা বের করে আনা এবং আশা করি আমরা সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছি। দেশে তরুনদের প্রতিভা বিকাশে এবং বাংলাদেশ সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অংশ হিসেবে কর্মসংস্থ্যান তৈরীতেও ব্যাটেল অব মাইন্ডস আরো বেশি ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ’