বৈঠকে দেশ দুটির মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। এছাড়া আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে।
প্রতিবেশী হিসেবে দুই দেশের মধ্যে কিছু অমিমাংশিত বিষয় থেকেই যায়। সব সময়ই আলাপ-আলোচনায় সমাধানের পক্ষে দুই দেশ। মুজিববর্ষে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও বিশ্ব মহামারীতে পিছিয়ে যায় সফর। কোভিড-১৯ সংক্রমণের বাস্তবতায় শীর্ষ বৈঠক হচ্ছে না দীর্ঘ সময় ধরে। দেরিতে হলেও ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই বৈঠক।
জানা গেছে, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে সীমান্ত যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, একইসঙ্গে ভারতের ক্রেডিট লাইনের আওতায় দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা প্রাধান্য পাবে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, সাম্প্রতিককালেও ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক সোনালী অধ্যায়। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট উদ্বোধন হবে। আমাদের বড় বড় ইস্যু, যেগুলো সব সময় আমরা তুলে থাকি সেই ইস্যুগুলো উত্থাপন হবে। বৈঠকে স্থল সীমান্ত ও সীমান্তে অনিশ্চয়তা, সমুদ্রসীমা, পানি সমস্যাসহ অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে দুই সরকার প্রধানের। চারটি সমঝোতা স্বারক এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় এমন প্রকল্পের উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের কুচবিহারের হলদিবাড়ি রেলপথও উদ্বোধন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ৫৫ বছর পর চালু হওয়ার পর প্রথম দফায় চলবে মালবাহী ট্রেন।