বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় ‘এসেন্স অব এএমএল অ্যান্ড সিএফটি ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ অব এমএফএস সেক্টর’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ'র প্রধান আবু হেনা মো. রাজি হাসান, তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিএফআইইউ’র যে নীতিমালা ও নির্দেশনা আছে তা যথাযথভাবে পালন করে এএমএলসিএফটি নিশ্চিত করা সম্ভব। বিকাশ দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসব নীতিমালা যথাযথভাবে মেনে চলছে এবং আশা করি ভবিষ্যতেও এই চর্চা অব্যাহত রাখবে।একইসঙ্গে তিনি সবগুলো এমএফএস প্রতিষ্ঠানকে বিএফআইইউ প্রদত্ত এএমএলসিএফটি নীতিমালা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেন।
কর্মশালায় ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে বিকাশ ব্যাপক হারে কৌশল, প্রক্রিয়া এবং প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, এএমএলসিএফটি কমপ্লায়েন্স আমাদের প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি। এমএফএস খাতের টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রাহকের আস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, বিএফআইউ’র নির্বাহী পরিচালক এসকান্দার মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার মো. মেজবাউল হক এবং বিএফআইইউ’র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শওকাতুল আলম।এছাড়া বিকাশ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের প্রায় ১৭৫ জন কর্মকর্তা এই ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।