মিয়ানমারের অবস্থান বিশ্বে সপ্তম চাল উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায়। দেশটিতে ১ অক্টোবর নতুন অর্থবছর শুরু হয়। চলে পরের বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেই হিসাবে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছর শুরুর প্রায় আড়াই মাস পর এসে চাল রফতানির লক্ষ্য ঘোষণা করল মিয়ানমার সরকার।
মিয়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড প্রমোশন বিভাগের পরিচালক মিও থু বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম, রফতানি চাহিদার উত্থান-পতনসহ বিভিন্ন কারণের ওপর চাল রফতানি নির্ভর করে। আমরা আশা করছি, ২০২০-২১ অর্থবছরে মিয়ানমার থেকে ২০ লাখ টন চাল রফতানি করা সম্ভব হবে। যদিও এর আগের অর্থবছরে ২৫ লাখ টনের বেশি চাল রফতানি হয়েছে। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মিয়ানমার থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি প্রায় পাঁচ লাখ টন কমে আসতে পারে।
মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছর শুরুর পর থেকে গত ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার ২৫৯ টন চাল রফতানি হয়েছে। এ সময় খাদ্যপণ্যটির রফতানি বাবদ মিয়ানমারের রফতানিকারকরা সব মিলিয়ে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার আয় করেছে। চলতি অর্থবছর ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে রফতানি হওয়া ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ চাল গন্তব্যে গেছে সড়কপথে সীমান্ত পেরিয়ে। অর্থাৎ এসব চাল প্রতিবেশী দেশগুলোয় রফতানি করেছে মিয়ানমার। রফতানি হওয়া চালের অবশিষ্ট ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ সমুদ্রপথে রফতানি গন্তব্যে গেছে।
২০১৬ সালে মিয়ানমার থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএসডিএ, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৭ শতাংশ বেশি। এর পর থেকে দেশটির চাল রফতানিতে আর চাঙ্গা ভাব দেখা যায়নি। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশটি থেকে যথাক্রমে ২৭ লাখ ৫০ হাজার ও ২৭ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছে। ২০১৭ সালে দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি কমেছে ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ।
ইউএসডিএর তথ্য অনুসারে, গত বছর মিয়ানমার থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ২২ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। চলতি বছরও মিয়ানমার থেকে ২২ লাখ টন চাল রফতানির সম্ভাবনা দেখছে ইউএসডি।