সভায় উপস্থিত একাধিক শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০ টায় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা শুরু হলেই রেজিস্ট্রারকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।
ভর্তি কমিটির সদস্য ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক সভা স্থগিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, সরকারি নির্দেশনায় রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দিতে বলা হলেও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই উপাচার্যকে বলেছি সরকারি নির্দেশনা থাকলেও রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। তার উপস্থিতিতে আমরা সভা করবো না। উনাকে বাইরে যেতে বলেন তাহলে আমরা সভা করবো। যদি তাকে নিয়ে সভা করতে চান তাহলে আমরা সভা থেকে বের হয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের ওই সভায় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রায় ৬০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা এক দুইজন বাদে সবাই বলেছেন, তাকে অব্যাহতি দেওয়ার পর ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা আয়োজন করতে হবে।
সভায় উপস্থিত দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম বলেন, সদস্যদের আপত্তির মুখেও উপাচার্য কিছুতেই রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারীকে রেখে সভা করতে রাজি ছিলেন না। যুক্তিতর্ক দেওয়া শুরু করেন তিনি। তখন বাড়ি দখলে রেখে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করার বিষয়টি তুলে আমরা তার উপস্থিতিতেও সভা করবো না বলে জানায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন কি করবেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য চিঠি আসলে তড়িঘড়ি করে সিন্ডিকেট ডাকেন ছুটির দিনে। নিয়োগ বোর্ড তড়িঘড়ি করে বসাতে পারেন। তবে রেজিস্ট্রারের অব্যাহতির ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট ডাকতে পারেননি এই অজুহাত দিচ্ছেন। তার মানে আপনার অনিচ্ছা। তাই আপনার সাথেও আমরা সভা করতে পারবো না।
এরপর উপস্থিত শিক্ষকদের সবার আপত্তির মুখে সভাটি ১০টা ৪০ মিনিটে স্থগিত করতে বাধ্যহন উপাচার্য।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানও সভা স্থগিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি কোনো কারণ বলেননি। পরবর্তী সভা সম্পর্কেও জানাতে পারেননি তিনি।