নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, জানুয়ারিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হবে। আগস্টের মধ্যে অন্তত ৩০ কোটি ভারতীয় ভ্যাকসিন পাবে। এরই মধ্যে দুটো কোম্পানি ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। আরো ছয়টি প্রকল্পের ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
ভারতে এখন পর্যন্ত প্রায় এক কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি। তবে সম্প্রতি সংক্রমণের হার কিছুটা ধীরগতির হলেও দ্রুত ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচী শুরুর পরিকল্পনা চলছে। শুরুতে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, পৌর প্রশাসনসহ করোনার বিরুদ্ধে সম্মুখসারিতে লড়াইরত এক কোটি ভারতীয়কে ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা। পরবর্তী পর্যায়ে ৫০ বছরের বেশি বয়সী ও অসুস্থরা ভ্যাকসিন পাবে।
দুটি কোম্পানি ইতোমধ্যেই অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। আরও ছয়টি কোম্পানি তাদের ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালের বিভিন্ন ধাপে রয়েছে। আগামী বছরের আগস্টের মধ্যে ভারতে ৩০ কোটি মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক সম্মিলিতভাবে প্রতি মাসে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে উৎপাদিত ভ্যাকসিন দিয়েই অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করতে পারবে ভারত। তবে নিজস্ব ভ্যাকসিনের বাইরেও বিদেশী কোম্পানিগুলোর কাছে কয়েক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছে দেশটি।