আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা ওয়াসার বুড়িগঙ্গা মিলনায়তনে ‘নিম্ন আয় এলাকার আদর্শ গ্রাহকদের সম্মাননা স্মারক বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২০ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, লোনা পানিকে খাবার পানি বা ব্যবহার উপযোগী করা খুব কঠিন কাজ। প্রায় ৯০ শতাংশ গ্রাহককে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে পারছে ঢাকা ওয়াসা। নদীর পানি পরিশোধন করে সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে। বাইরে ছোট এক বোতল পানির দাম ১০ টাকা। আর ওয়াসা এক হাজার লিটার পানির জন্য নিচ্ছে মাত্র ১৪ টাকা, এটাও ঠিকমতো দিতে চায় না। হাজার হাজার লিটার পানি ব্যবহার করবেন। পদ্মার পানি, মেঘনার পানি পরিশোধন করে আপনার বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে কিন্তু বিলটা দেবেন না এটা কেমন কথা? বড় বড় শিল্পের মালিক তারা পানির বিল দিচ্ছে না, ফাঁকি দিচ্ছে অথবা ম্যানুপুলেট করছে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, পুরো ঢাকা শহরকে উপরিভাগের পানি অর্থাৎ নদীর পানি পরিশোধন করে আমরা সাপ্লাই করব। মাটির নিচ থেকে আর পানি তুলব না। এসডিজিতে স্বাক্ষর করেছি ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানি সরবরাহ করব। এরমধ্যে ৯১/৯২ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। অনেক পাহাড়ি এলাকা যেমন বান্দরবান, রাঙ্গামাটিতে এখনো নিরাপদ পানি দিতে পারি নাই। তবে ২০৩০ মালের মধ্যে সকল মানুষকে নিরাপদ পানি দেব।
সচিব বলেন, এখন হয়তো উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করে না। নিরাপদ স্যানিটেশন এখনো শতভাগ করতে পারি নাই। উন্মুক্ত স্থানে হয়তো মলত্যাগ করে না, তবে বাস স্টেশন, ফুটপাতকে এখনো নিরাপদ নিশ্চিত করতে পারি নাই। ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ স্যানিটেশন করব। ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি এবং শতভাগ স্যানিটেশন উপহার দেব।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এর সভাপতিত্বে সন্মাননা প্রদান করা হয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পানি সরবরাহ অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ইবরাহিম, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, ডিএসকে প্রতিনিধি ড. মাহমুদুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী উত্তম কুমার রায় সহ অন্যান্য ব্যক্তি বর্গ।