তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু হচ্ছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে দুই পাড়ের মানুষের সংযোগ স্থাপিত হবে।পাশাপাশি এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু সম্পন্ন হলে অর্থনীতির বড় একটি পরিবর্তন হবে। অর্থনীতিবিদরা হিসাব করে বলেছেন এক পার্সেন্টের বেশি জিডিপি আমাদের বেড়ে যাবে। অর্থাৎ এক পার্সেন্ট জিডিপি যদি বাড়ে তাহলে আমাদের আজকের দারিদ্রতার হিসেবে করা হয় যে ২০ পার্সেন্ট। আমরা আশাকরি তখন দারিদ্রতার হার ৫ পার্সেন্ট কমে যাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সারা দেশে ১০০ ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হবে। এদেশ কৃষিতে সমৃদ্ধ। কিন্তু এদেশের জনসংখ্যা প্রচুর। এতো মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রচুর শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে হবে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে সারা দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। অসংখ্য শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে। শিগগিরই চট্টগ্রামে বিশাল এক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে যেখানে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এরমধ্য দিয়ে দেশে ১ শতাংশ জিডিবি বেড়ে যাবে। ফলে দেশে দারিদ্রতার হার কমে আসবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাউদ্দিন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান শিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী লিটন এমপি।