বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের মে মাসে ওমানসংলগ্ন আরব সাগরে মাছ ধরার সময় তাদের ফিশিং বোট স্রোতের টানে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়লে পাকিস্তানি কোস্টগার্ড তাদের আটক করে। দ্রুততম সময়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বিষয়টি সরাসরি তত্ত্বাবধান করেন এবং তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় বিমান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক ভ্রমণ ব্যয়ের সরকারি অনুমোদন দেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, করাচির বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন সিন্ধুপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মালির কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই ৮ বাংলাদেশি জেলের দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাকিস্তানে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর গত ২৫ নভেম্বর পুনরায় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের মালির কারাগার থেকে মুক্ত ৮ বাংলাদেশি নাগরিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে অগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরবেন। এই আট প্রবাসী কর্মী বৈধভাবে ওমানের একটি ফিশিং বোটে কর্মরত ছিলেন।