বৃদ্ধি পাচ্ছে ল্যাপটপ-ডেস্কটপের চাহিদা

বৃদ্ধি পাচ্ছে ল্যাপটপ-ডেস্কটপের চাহিদা
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বাসায় থেকে ক্লাস ও অফিসের কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সংস্কৃতি চালু হওয়ায় ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। গ্রাহক পর্যায়ে বড় ডিভাইসের প্রতি আগ্রহ আগের চেয়ে বেড়েছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারের বিক্রি স্মার্টফোনকে ছাপিয়ে যায়। বৈশ্বিক চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে প্রস্তুতকারকরা ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার পর্যাপ্ত সরবরাহ করতে পারছে না। রয়টার্স সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বিশ্লেষকরা বলেন, বর্তমানের চাহিদা পূরণে প্রস্তুতকারকরা কয়েক মাস পেছনে রয়েছেন। এ বিষয়ে এসার ইনকরপোরেশনের সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গ্রেগ প্রেন্ডারগাস্ট বলেন, কম্পিউটিং ডিভাইসের পুরো সরবরাহ চেইন এর আগে কখনই এতটা চাপে পড়েনি। বিশ্বজুড়ে পিসির (ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ) বার্ষিক সরবরাহ সবচেয়ে বেশি ছিল ২০০৮ সালে। সে বছর ৩০ কোটি ইউনিটের বিপরীতে চলতি বছর প্রথমে ২৫ কোটি ইউনিট ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ সরবরাহের কথা বলা হয়েছিল।

সুতরাং এ হিসাবে ২০০৮ সালের রেকর্ড ভাঙার আশা ছিল না। তবে কিছু বিশ্লেষক এখন আশা করছেন চলতি বছর শেষে পিসির সরবরাহ ৩০ কোটি ইউনিটে পৌঁছবে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ট্যাবলেটের চাহিদা আরো দ্রুত বাড়ছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্যমতে, আগামী বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ইনস্টলড পিসি ও ট্যাবলেটের সংখ্যা ১৭৭ কোটি ইউনিটে পৌঁছে যাবে। গত বছর এ সংখ্যা ১৬৪ কোটি ইউনিট ছিল। করোনাভাইরাসের নতুন বাস্তবতায় পুরো বাড়ির জন্য একটি পিসির বদলে প্রতি শিক্ষার্থী, ভিডিও গেমার ও ঘরে বসে কাজ করা সদস্যদের জন্য একটি করে পিসি কিনতে বাধ্য করেছে।

আকস্মিক এ চাহিদা মেটানোর চাপ পড়েছে হাতেগোনা কয়েকটি পিসি প্রস্তুতকারক সংস্থার ওপর। সংস্থাগুলো সরবরাহ বাড়িয়েছে, শিপিংয়ে গতি বাড়িয়েছে এবং আগামী বছর আরো ভালো মডেল উৎপাদন এবং সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়েছে, যদিও এগুলো যথেষ্ট ছিল না।

বিশ্লেষকরা বলেন, মনিটর ও প্রসেসরসহ পিসির যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী অনেকগুলো কারখানা লকডাউনে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। ফলে এ যন্ত্রাংশগুলো পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। চালানগত কোনো সমস্যা না হলে আগামী বছরের বিক্রির পূর্বাভাস আরো বেশি হবে।

গ্রেগ প্রেন্ডারগাস্ট বলেন, এসার শিক্ষা খাতের গ্রাহকদের কাছে সরাসরি ল্যাপটপ পৌঁছে দিতে কাজ করছে। নৌ-পরিবহন ও ট্রেনের মাধ্যমে চালান পৌঁছাতে এক মাসের মতো সময় লাগবে। এছাড়া সংযোজনের অপেক্ষায় থাকার জন্য কিছু গ্রাহকের চালান পেতে চার মাস অপেক্ষা করতে হবে।

গ্রাহকদের থেকে পিসি প্রস্তুতকারক ডেলের অনলাইন চাহিদা চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেল টেকনোলজিস ইনকের প্রেসিডেন্ট স্যাম বার্ড এ মাসে বলেছিলেন, এ শিল্পে নবজাগরণ শিগগিরই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সফটওয়্যারের আবির্ভাব ঘটাবে। ফলে লগইন ও ক্যামেরা বন্ধ করার মতো কাজগুলো আরো সহজ হয়ে যাবে।

বিশ্লেষকরা বলেন, নতুন প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখে আগামী কয়েক মাসে কিছু পিসি বাজারে আসছে। সেগুলোতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য আরো ভালো ক্যামেরা ও স্পিকার রয়েছে। অনেক মডেলে সেলুলার চিপ থাকবে। ফলে সেগুলোর মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী ওয়াইফাই ছাড়াও ফোরজি কিংবা ফাইভজি মোবাইল সিগন্যাল ব্যবহার করা যাবে।

 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে ১৪ অ্যাপ
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে যা করবেন
গোপন নয় ‘ইনকগনিটো’ মুড, গুগলকে ৫৪ হাজার কোটির জরিমানা
বৈদ্যুতিক গাড়ি আনছে শাওমি
গুগল ক্রোম বাংলায় ব্যবহার করবেন যেভাবে
ডিলিট হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন যেভাবে
ওয়েবসাইটে জি-মেইল অ্যাড্রেস আনসাবস্ক্রাইব করবেন যেভাবে
আইফোন চুরি হলেও আইডির সুরক্ষা দেবে নতুন ফিচার
দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
আইফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর উপায়