টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নিউ জিল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২২২ রান। কেন উইলিয়ামসন ৯৪ ও নিকোলস ৪২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
ভেন্যুর সবুজ গালিচা ও ২২ গজকে আলাদা করা ছিল খুবই কঠিন কাজ। পেসারদের জন্য এমন উইকেট সব সময়ই আদর্শ। সেজন্য পাকিস্তানের অধিনায়ক রিজওয়ান টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি। দুই ওপেনার টম লাথাম (৪) ও টম বান্ডেলকে (৫) ১০ ওভারের ভেতরেই ফিরিয়ে দেওয়ায় রিজওয়ানের সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণিত হয়।
তবে তৃতীয় উইকেট থেকে সব ওলটপালট। কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর ১২০ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। পরবর্তীতে এগিয়ে নেন রানের গতি। দুই সিনিয়র শুরুতে খানিকটা নড়বড়ে থাকলে উইকেটে থিতু হওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাননি।
চোয়ালবদ্ধ পারফরম্যান্সে দুইজনই এগিয়ে যান মাইলফলকে। উইলিয়ামসন ক্যারিয়ারের ৫৫তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। একই সঙ্গে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশিবার ফিফটি বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলায় সাবেক কিংবদন্তি স্টিফেন ফ্লেমিংয়ে স্পর্শ করেন।
টেলরকে ৭০ রানে থামিয়ে এ জুটি ভাঙেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান আফ্রিদির অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। দিনের বাকিটা পথ ভালোভাবে সামলে নেন উইলিয়ামসন ও নিকোলস। অবিচ্ছিন্ন ৮৯ রানের জুটিতে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়েন দুই ব্যাটসম্যান।
সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা উইলিয়ামসন থেমে যেতে পারতেন ১৮ রানে। ওই রানে নাসিম শাহর বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। শান মাসুদ ক্যাচ ছেড়ে দলকে বিপদে ফেলেন। আবার ৮৬ রানে আফ্রিদির বলে স্লিপে তার সহজ ক্যাচ ছাড়েন হারিস সোহেল। নিকোলস ৬ রানে ক্যাচ দিয়েছিলেন। মোহাম্মদ আব্বাস সেই ক্যাচ মুঠোবন্দী করতে পারেননি। মাঝে রিভিউ না থাকায় উইলিয়ামসনকে ফেরানোর সুযোগও হাতছাড়া হয় পাকিস্তানের। সব মিলিয়ে বোলিংয়ে আঁটশাঁট থাকলেও ফিল্ডিং ডুবিয়েছে সফরকারীদের।