জানা গেছে, এমডি পদে আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যে তার চেয়ে অধিকতর যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তাকেই বেছে নিয়েছে পর্ষদ। এমনকি এনআরসি বাছাই করা সর্বশেষ দুই প্রার্থীর বিষয়ে এক্সচেঞ্জটির কৌশলগত বিনিয়োগকারী চীনের শেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকেও তাদের যোগ্যতার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ ছিল বহিরাগত প্রার্থীর চেয়ে ডিএসইর মধ্যেই অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী রয়েছে। তবে এসব পরামর্শ উপেক্ষা করেই এম আশিক রহমানকে বাছাই করল ডিএসইর পর্ষদ।
ডিএসইর এমডির যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যবসা, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, গণিত বা আইনে ব্যাচেলর ডিগ্রিসহ ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের অভিজ্ঞতা কিংবা সিএফএ, সিএ, সিএমএ, সিএস, সিপিএ ইত্যাদি পেশাজীবী সনদসহ ১০ বছরের অভিজ্ঞতা। অবশ্য পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উপরোল্লিখিত যোগ্যতা না থাকলেও চলবে।
এর আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এ বছরের ৮ অক্টোবর ডিএসইর বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ৪ নভেম্বর এমডি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় ডিএসই। বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর এক্সচেঞ্জটির এমডি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। এদের মধ্য থেকে সাতজন প্রার্থীকে বাছাই করে ১০ ডিসেম্বর জুমের মাধ্যমে সাক্ষাত্কার নেয় এনআরসি। সাক্ষাত্কারের পর এনআরসির পছন্দের তালিকায় আলোচনায় আসে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ এনামুল হক সরদার ও এম আশিক রহমানের নাম।
ডিএসইর এমডি পদের জন্য সাক্ষাত্কার দেয়া অন্য পাঁচ প্রার্থী হলেন এনসিসি ব্যাংকের সাবেক এমডি মোসলেহউদ্দীন আহমেদ, এনআরবি ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. মেহমুদ হোসেন, ডিএসইর সাবেক সিটিও এএসএম খায়রুজ্জামান, ফ্রিল্যান্স পরামর্শক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এফসিএ, সিপিএ, সিপিএফএ ও মো. আব্দুর রহিম।