মার্কিন কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ২০২০ সাল শেষে থাইল্যান্ডে চিনির সমাপনী মজুদের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৩৫ লাখ ৩০ হাজার টনে। এর মধ্য দিয়ে আগের বছরের তুলনায় দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির মজুদ হ্রাস পেতে পারে ৫৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। গত বছর থাইল্যান্ডে চিনির সমাপনী মজুদ ছিল ৮৩ লাখ ৩০ হাজার টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে থাইল্যান্ডে চিনির সমাপনী মজুদ হ্রাস পেতে পারে ৪৮ লাখ টন।
২০১২ সালে থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বশেষ চিনির সমাপনী মজুদে মন্দা ভাব দেখা গেছে। ওই বছর দেশটিতে চিনির মজুদ দাঁড়ায় ২৮ লাখ ১০ হাজার টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ কম। এরপর চলতি বছর ফের থাই চিনির মজুদ কমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
থাইল্যান্ডের অবস্থান চতুর্থ চিনি উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায়। তবে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চিনি রফতানিকারক দেশ থাইল্যান্ড। গত বছর চিনির বৈশ্বিক রফতানি বাণিজ্যের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ একাই জোগান দিয়েছিল দেশটি। রফতানি হয়েছিল ১ কোটি ৬ লাখ ১২ হাজার টন চিনি, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দমমিক ৭০ শতাংশ কম।
২০২০ সালে থাইল্যান্ড থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার টন চিনি রফতানির পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। এটাই হবে থাইল্যান্ডের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চিনি রফতানির রেকর্ড।