ডিজাইন
ইনফিনিক্স হট ১০ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে দিতে বর্তমান স্মার্ট লাইফের সঙ্গে মিল রেখে করা এক্সওএস ৭.০ ডিজাইনের সঙ্গে দুর্দান্ত, ট্রেন্ডি ও রঙ মিলিয়ে এক নতুন ভিজ্যুয়াল দেয়া হয়েছে। এতে স্মার্ট স্ক্যানার, ইয়ার-সেন্সর রিসিভার, ইউলাইফ ইত্যাদির মতো ইন্টেলিজেন্ট ফিচারের পাশাপাশি সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড ফিচারগুলোর সন্নিবেশ করা হয়েছে।
গেমিং চিপসেট
তরুণ প্রজন্মের কাছে মোবাইল গেমিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইনফিনিক্স হট ১০ স্মার্টফোনে ব্যবহূত হেলিও জি৭০ চিপসেট স্মার্টফোন গেমিংকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। গেমিং সময় ডিভাইসটির উন্নত বিল্টইন স্পিকার জোরালো শব্দ সরবরাহ করবে।
ডিসপ্লে, অপারেটিং সিস্টেম ও র্যাম
অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমচালিত ৬ গিগাবাইট র্যামের ডিভাইসটিতে ৬ দশমিক ৭৮ ইঞ্চির এইচডি প্লাস ইনফিনিটি ডিসপ্লে ব্যবহূত হয়েছে। এর ডিসপ্লে রেজল্যুশন ৭২০ী১৪৮০ পিক্সেল। ডিভাইসটির বডি ডাইমেনশন ১৭১.১ী৭৭.৬ী৮.৮৮ মিলিমিটার। ইনফিনিক্স হট ১০ স্মার্টফোনের এলিগেন্ট ডিজাইন, ডিভাইসটির পেছনে দুই রঙের সমাহার, ভাইব্রেন্ট প্যাটার্ন ও কার্ভ এজ ব্যবহারকারীকে এক অনন্য অনুভূতি দেবে।
ব্যাটারি
ইনফিনিক্স হট ১০ স্মার্টফোনে আছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি। পাশাপাশি বেশকিছু অভিনব ও নতুন সফটওয়্যার অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে ডিভাইসটির ব্যাটারির সক্ষমতা অনেক বাড়ানো হয়েছে। চার্জ শেষ হয়ে হঠাৎ ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিব্রতকর পরিস্থিতিকে বিদায় জানাতে ডিভাইসটিতে পাওয়ার ম্যারাথন প্রযুক্তির ব্যাটারি দেয়া হয়েছে।
ক্যামেরা
ইনফিনিক্স হট ১০ স্মার্টফোনের ক্যামেরা ফিচারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ডিভাইসটি ডুয়াল ফ্ল্যাশলাইটসহ ৮ মেগাপিক্সেলের এফএফ ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে ৩২৬৪ী২৪৪৮ পিক্সেলের ছবি তোলা যাবে। ডিভাইসটির ক্যামেরা অনেকগুলো মোডসহ ফেস খুঁজে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাতে ফোকাস করতে পারে। রিয়ার প্যানেলে কোয়াড ক্যামেরায় একটি ১৬ মেগাপিক্সেল, ২ মেগাপিক্সেল, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর এবং একটি এআই লেন্স রয়েছে, যা উজ্জ্বল ছবির নিশ্চয়তা দেবে।
কানেক্টিভিটি
হট সিরিজের গ্রাহকদের জন্য ইনফিনিক্স হট ১০ কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে ওয়াইফাই ৮০২.১১ এ/বি/জি/এন, জিপিএস, ব্লুটুথ ভি৫.০০, মাইক্রো-ইউএসবি, এফএম রেডিও, থ্রিজি এবং ফোরজি রয়েছে। ফোন সেন্সরের মধ্যে রয়েছে অ্যাক্সিলোমিটার, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সর, কম্পাস/ম্যাগনেটোমিটার, জাইরোস্কোপ, প্রক্সিমিটি সেন্সর, ফেস ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। যে কোনো চলচ্চিত্র দেখা, গান শোনা ও গেমিংয়ের ক্ষেত্রে আরো ভালোমানের অভিজ্ঞতা দিতে সাউন্ড ইফেক্টগুলো কাস্টমাইজ করার জন্য ডিটিএস অডিও প্রসেসিং টেকনোলজি ব্যবহার করতে পারবেন।