বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির কাছে বকেয়া অর্থের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা আগামী সোমবারের মধ্যে গ্রামীণফোনকে পরিশোধের আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
এর আগে মাত্র গতকাল অর্থাৎ বুধবার গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির মূল দাবির এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ ৫৭৫ কোটি টাকা পরিশোধের প্রস্তাব দেয় গ্রামীনফোন।
তবে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে বিটিআরসি।
গ্রামীণফোনের আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ২৩শে নভেম্বর সংস্থাটির পক্ষে আদালতে একটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল।
"তার শুনানিতে আজ আদালত জানিয়েছে, যদি আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৪শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রামীণফোন বকেয়া অর্থের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করে, তাহলে আমাদের রিভিউ আবেদন বিবেচনায় নেবে আদালত।"
"আর এ সময়ের মধ্যে গ্রামীণফোন যদি অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হয়, তাহলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আদালত সোমবার আদেশ দেবে।"
টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির দাবি, গ্রামীনফোন এবং রবি, এই দুইটি টেলিকম কোম্পানির কাছে ২০ বছরে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে সংস্থাটির।
এর মধ্যে গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
যদিও মোবাইল কোম্পানি দুটো বলেছে, টাকার অংক নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে।
বকেয়া আদায়ে অগাস্টে দুইটি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোন এবং রবি-আজিয়াটার লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এরপরে অক্টোবরে প্রতিষ্ঠান দুইটিতে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
কিন্তু পরে বিটিআরসির পাওনা দাবির বিরুদ্ধে গ্রামীণফোন আদালতে গেলে হাইকোর্ট বিটিআরসির নোটিশের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এরপর গত ২৪শে নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে গ্রামীণফোনকে অবিলম্বে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়।
সেই আদেশ পর্যালোচনা বা রিভিউ করার আবেদনের জবাবে আজকে এই আদেশ দিয়েছে আদালত।