চিঠিতে বলা হয়েছে, ডেল্টা স্পিনার্স ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমেছে। এরপরে ২ বছরেও কোম্পানিটির কোন উন্নতি হয়নি। যে কোম্পানিটি ২০১৫ সালের পরে ৪ বছর নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি। এছাড়া কোম্পানিটি সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করছে না।
এই কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা মাত্র ১৮ শতাংশ শেয়ার ধারনের মাধ্যমে বিএসইসির সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের নির্দেশনা ভঙ্গ করেছে। অথচ কোম্পানিটিতে ৬৭ শতাংশ শেয়ার ধারন করেও সাধারন শেয়ারহোল্ডাররা দীর্ঘ সময় ধরে নগদ লভ্যাংশ পাচ্ছে না। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকারক ও কমিশনের কাছে অপ্রত্যাশিত।
এই পরিস্থিতিতে ডেল্টা স্পিনার্স কর্তৃপক্ষকে গত ১ সেপ্টেম্বর ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির পর্ষদ পূণ:গঠন নিয়ে বিএসইসির জারি করা নির্দেশনা পরিপালন করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি নিয়ে বিএসইসির ১ সেপ্টেম্বরের ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই ক্যাটাগরির উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা শেয়ার ক্রয়, বিক্রয়, হস্তান্তর বা বন্ধকী রাখতে পারবে না। এছাড়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির পর্ষদ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে পূণ:গঠনের জন্য পূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কমিশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে দেওয়া চিঠিতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ১১(২) ধারা অনুযায়ি, কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ব্যবসায় উন্নয়ন ও ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে বের হওয়ার জন্য ব্যবসা পরিকল্পনার বিস্তারিত দাখিল করতে বলেছে। একইসঙ্গে কোম্পানির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কোম্পানি সচিব, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও), সর্বশেষ আর্থিক হিসাব, ফাইন্যান্সিয়াল অবস্থা ও স্থায়ী সম্পদের তথ্য দিতে বলেছে।