জানা গেছে, মেশিন ও যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ইতিমধ্যেই এলসি খোলা হয়েছে।যার ফলে আগামী চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে এই নতুন মেশিন স্থাপন করা হবে। ইউরোপ ও জাপানে রফতানি করতে বছরে ২০ মিলিয়ন ব্যাগ উৎপাদন করবে এসকে ট্রিমস।এর ফলে রফতানি আয় হবে ৪০০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ট্র্যাভেল ব্যাগের ব্যবসা বিশ্বব্যাপী প্রসারিত হচ্ছে, কারন পর্যটন ও ভ্রমণ শিল্প বিশ্বব্যাপী প্রসারিত হচ্ছে।ব্যাগের বাজারের আকার প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার এবং প্রতি বছর ১৫ শতাংশ প্রসারিত হচ্ছে।এর মধ্যে ৬০০ শতাংশ ব্যবসা রয়েছে চীনের।ইউরোপ দ্বিতীয় স্থানে আর লাগেজের শীর্ষ আমদানিকারক দেশ আমেরিকা।
এদিকে রফতানি ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ১৪৮ মিলিয়ন ডলারের ট্র্যাভেল ব্যাগ ও লাগেজ রফতানি করেছে।আগের অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ২৪৭.২ মিলিয়ন ডলার।গত দশকে রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫৩ শতাংশ।
এদিকে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য এসকে ট্রিমস ২০১৯ সালে ফার্মাসিউটিক্যালস, প্যাকেজিং, উৎপাদন ও গার্মেন্টস শিল্প খাতে বিনিয়োগ করেছে।২০১৪ সালে উৎপাদন শুরু করে এসকে ট্রিমস। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটির ব্যবসা হয়েছিল ১১৪.৬৭ কোটি টাকা, এই সময়ে ব্যবসায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫০৮ শতাংশ ।একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা ছিল ১৯.৪৪ কোটি টাকা। সে হিসেবে মুনাফা বেড়েছে ১১১৫ শতাংশ।
এসকে ট্রিমস ব্যবসা প্রসারের জন্য আইপিও এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল।কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের গত অর্থবছরে ১০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।
কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৮৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।কোম্পানির স্পন্সর পরিচালকদের কাছে ৩০.২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯.৪৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪০.৩০ শতাংশ শেয়ার।