বাণিজ্য প্রসার নিয়ে আলোচনা হবে না। খানিকটা অভিমানের সুরে এমন ইঙ্গিত দিয়েই ভারত সফরের ঢাক বাজিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President)। কিন্তু সেই সফরের দিন তিনেক আগে উলটো সুর ট্রাম্পের (Donald trump) গলাতে। "বহুদিন ধরে বাণিজ্য খাতে ভারত আমাদের ভালো ব্যবসা দিচ্ছে। তাই আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য (We will Talk on Trade) নিয়ে কথা বলবো," শুক্রবার ফের একবার অবস্থান স্পষ্ট করে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দু'দিনের (2-Days India Visit) ভারত সফরে সপরিবার আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ছাড়াও আসছেন কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও তাঁর স্বামী। ফলে এখনও সাজো-সাজো রব দিল্লি আগ্রা ও আহমেদাবাদে। সেই প্রস্তুতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার কলোরাডোর 'কিপ আমেরিকা গ্রেট' পদযাত্রায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "আগামী সপ্তাহের আমি ভারত যাচ্ছি এবং আমরা বাণিজ্য প্রসার নিয়ে কথা বলবো। অনেক বছর ধরে ওরা, আমাদের ভালো ব্যবসা দিচ্ছে।মেয়ে-জামাইকে সঙ্গে নিয়ে সস্ত্রীক ভারত সফরে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেছেন, "আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুব পছন্দ করি। তবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার নিয়ে আমরা খুব কম কথা বলেছি। ওরা আমাদের রফতানি মূল্য খুব চড়া হারে দেয়। বিশ্বের মধ্যে ভারতই এত চড়া রফতানিমূল্য দেয়।" ট্রাম্পের এই প্রস্তাবিত ভারত সফরের আগে একটা সম্ভাবনা জেগেছিল ইন্দো-মার্কিন বহু প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তিকে ঘিরে। কিন্তু খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলেছেন। তিনি বলেছেন, দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সম্ভাবনাময় বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে। কিন্তু সেই ব্যাপারে কথা তখনই এগোবে, যদি প্রস্তাব ভালো আসে।
আমেরিকার সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্যের নিরিখে পণ্য ও পরিষেবা খাতে ৩% দিয়ে থাকে ভারত। তবে ভারত সফর ঘিরে নিজের উত্তেজনা চেপে রাখেননি ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, "আশা করি ভারত থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পাবো। শুনেছি বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে তাঁরা। যেখানে ১০ মিলিয়ন মানুষ অনায়াসে বসতে পারে। সেটা অবশ্যই নতুন এবং অভিনব নির্মাণ।
আহমেদাবাদের জনসভাকে 'নমস্তে ট্রাম্প' নাম দিয়েছে নয়া দিল্লি। সেই জনসভা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রপ্তুতি। এদিকে সিএফআর-এর একটা হিসেব বলছে, আয়তনের বিচারে ইন্দো-মার্কিন বর্তমান বাণিজ্য সদৃশ্য। সাউথ কোরিয়া বা ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বাবদ ১৬৭ বিলিয়ন ও ১২৯ বিলিয়ন উপার্জন করেছে ইউএস।