মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হিজড়া মুসলিমদের জন্য দেশের প্রথম উদ্যোগ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মনে অনেকে আশা ও আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে। এখন আমরা বিশ্বাস করি যে মানুষ হিসেবে সমাজের মূলধারার সঙ্গে আমাদেরও বসবাসের অধিকার আছে।’
এদিন নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠদান অনুষ্ঠানে আনন্দ প্রকাশ করেন মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক মুফতি আবদুর রহমান আজাদ। এ সময় বিভিন্ন ইসলামি শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
মুফতি আবদুর রহমান আজাদ জানান, তিনি দেশের প্রথম এবং সম্ভবত বিশ্বের হিজড়াদের জন্য প্রথম মাদ্রাসা চালু করেন। মূলধারার সমাজে একত্রিত করার প্রচেষ্টায় তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসেন। অনেকদিন ধরে তারা দুর্বিপাক জীবন যাপন করছে। তারা স্কুল, মাদ্রাসা বা মসজিদে যেতে পারবে না। তারা বৈষম্যের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, এর জন্য আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রকে দায়ি করতে হবে। আমরা এই বৈষম্য শেষ করতে চাই। আল্লাহ মানুষে মানুষে ভেদাভেদ পছন্দ করেন না। ইসলাম সবাইকে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করে। হিজড়াদের উচিত অন্য যেকোনো মানুষের মত সকল অধিকার ভোগ করা।
কওমি মাদরাসা ভিত্তিক পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠদান শুরু হয়। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াবলিও অন্তর্ভূক্ত আছে। অনুষ্ঠানে সব শিক্ষার্থীদেরকে পবিত্র কোরআন প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অনুসারে, দেশে ১০ হাজারের মতো হিজরা তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য আছে। অবশ্য বাংলাদেশ হিজড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবিদা সুলতানা মিতুর মতে দেশে কমপক্ষে ১৫ লাখ হিজড়া বসবাস করে।