এর মাধ্যমে মাত্র ১২ কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ২৪ হাজার ৮৮০ কোটি ১৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এর আগে কোনো কোম্পানি লেনদেন শুরুর প্রথম ১২ কার্যদিবস টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করতে পারেনি। রবির আগে টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার রেকর্ড ছিল ওয়ালটনের। ওয়ালটনের শেয়ার দাম লেনদেন শুরুর প্রথম আট কার্যদিবসে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
সোমবার লেনদেনের শুরুতে ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা করে কোম্পানিটির ৮০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে এ দামে বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি।
এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা করে তিন কোটি ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৭টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এর মাধ্যমে দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে কোম্পানিটি।
এরপরও কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব আসার ঘর খালি পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ ক্রেতা থাকলেও শেয়ারের বিক্রেতা সংকট রয়েছে।
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আইপিও খরচের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ছেড়ে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করা রবির শেয়ার গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়।
১০ টাকা অভিহিত মূল্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ইস্যু করা রবির শেয়ার লেনদেনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম দফায় দফায় বাড়ছে। টানা ১২ কার্যদিবস দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্রেতা থাকলেও এক প্রকার বিক্রেতা সংকট রয়েছে।
এ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার যে কয়দিন লেনদেন হয়েছে তার প্রতিটি দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। ফলে ১২ কার্যদিবসেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ বা ৪৭৫ শতাংশ।